ডেস্ক নিউজ : চার মাস ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বলে জানিয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর রামপুরা সেতুর পাশে মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রামপুরা থানায় দায়ের হওয়া গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সাদাত আহমেদ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতি। এছাড়া, তিনি ব্যবসায়িক গ্রুপ এবিএন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের অধীনে এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক, এবিএন এভিয়েশন, এবিএন ট্রাভেলস, এবিএন কার্গো, এবিএন প্রোপার্টিজ লিমিটেড, এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কফি চেইন সুগার এন স্পাইস পরিচালিত হয়।
পরিবারের দাবি, গত ২২ আগস্ট বিকেল ৩টায় রাজধানীর বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি মাইক্রোবাসে সৈয়দ সাদাত আহমেদের গাড়ির গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কয়েকজন এসে তাকে জোর করে নামিয়ে অন্য গাড়িতে তুলে নেয়। তখন থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তার স্ত্রী লুনা সাদাত আহমেদ।
সাদাতকে তুলে নেয়ার পর তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই দিন বিকালে ছেলে মেহেদি জামান ও বাসার কেয়ারটেকারকে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সাদাত আহমেদ। বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি মাইক্রোবাস তাদের পথরোধ করে এবং মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন এসে সাদাতকে জোর করে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর ওই মাইক্রোবাসের একজন এসে সাদাতের গাড়ির চালকের আসনে বসেন। দুটি গাড়িই কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ ফুট রাস্তা দিয়ে পূর্বাচলে গিয়ে থামে। সাদাতের গাড়িতে ওই সময়ও তার ছেলে মেহেদি ও কেয়ারটেকার ছিল। পূর্বাচলে সাদাতের গাড়ি থেকে ওই ব্যক্তি নেমে যান। সাদাত ১৫ মিনিট পর ফিরে আসবেন বলে তার ছেলেকে বলে যান তিনি। পরে ওই মাইক্রোবাস নারায়ণগঞ্জের দিকে চলে যায়।”। (পার্সটুডে)